মনুষ্যবাহী দিচক্রযান থেকে ত্রিচক্রযান, হাতে টানা রিকশা থেকে যন্ত্র চালিত অটো রিকশা।
১৮৬৯ সালে ইজুমি ইউসুকি জাপানে আবিষ্কারের পর থেকে রিকশা ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন দেশে। জাপানি শব্দ ‘রিকশা’ এর আভিধানিক অর্থ হলো 'মনুষ্যবাহিত বাহন'।
"অমানবিক" হাতেটানা রিকশা থেকে সাইকেল রিকশা তারপর প্রবর্তিত হয় “মানবিক” অটোরিকশা।
বর্তমানে প্রচলিত অটোরিকশা বলতে যা বোঝায় তা ২০১১ সালের দিকে সর্ব প্রথম দেখা যায়। দেশের প্রায় সব যায়গাতে অটোরিকশা চোখে পড়ে। এটি কম খরচে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার একটি জনপ্রিয় ও আরামদায়ক বাহনে পরিণত হচেছ। বৈদ্যুতিক মোটর সংযোজন করে সাইকেল রিকশা থেকে অটোরিকশায় রূপান্তর করা যায়। যদিও এটি ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ।বর্তমানে সিএনজি অটোরিকশা, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও সৌরবিদ্যুৎ চালিত অটোরিকশা দেখা যায়। ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার দাম কম হওয়ায় এর সংখ্যা দিন দিন অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন এক লাখ টাকায় একটি অটোরিকশা কেনা যায়।
বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে ব্যাটারি চালিত অটো-রিকশা |
বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের অটোরিকশা দেখা যায়। বাংলাদেশে তিন সিট ও তিন চাকার ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ব্যাপক পরিচিত। বেবিট্যাক্সি এর আদলে বানানো অটোরিকশার পেছনে দুটি চাকা থাকে। প্রতি সিটে দু’জন বসার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু কখনো কখনো দু’জন জনের বেশি লোকও বসে থাকেন। কম গতির কারনে অনেক মহাসরকে অটোরিকশা
চলতে দেয়া হয়না।
No comments:
Post a Comment