নিচে এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঔষধি গুণ তুলে ধরা হলো—
জ্বর ও ম্যালেরিয়ার চিকিৎসা এর পাতা সিদ্ধ করে পান করলে জ্বর ও ম্যালেরিয়া নিরাময়ে সাহায্য করে।এটি শরীরের তাপমাত্রা কমাতে কার্যকর।
আমাশয় ও পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা ঘাগরা পাতার রস আমাশয় ও ডায়রিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।এটি হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং পেট ফাঁপা ও গ্যাসের সমস্যা কমায়।
বাত ও জয়েন্টের ব্যথা এর শিকড় এবং পাতা পেস্ট করে লাগালে বাত, আর্থ্রাইটিস ও জয়েন্টের ব্যথা উপশম হয়।পাতা সিদ্ধ করে পান করলে অভ্যন্তরীণ ব্যথা কমায়।
চর্মরোগ ও ফোড়া পাতার রস একজিমা, চুলকানি, খোসপাঁচড়া ও অন্যান্য চর্মরোগ নিরাময়ে কার্যকর।ফোড়া বা ঘা হলে পাতার রস বা বাটা লাগালে দ্রুত আরোগ্য হয়।
ক্ষত সারাতে সাহায্য করেকাটা-ছেঁড়ায় বা ক্ষত স্থানে পাতার রস লাগালে এটি দ্রুত শুকিয়ে যায় এবং সংক্রমণ কমায়।
কীটনাশক হিসেবে ব্যবহার এর পাতার রস মশা, উকুন ও অন্যান্য পোকামাকড় দূর করতে সাহায্য করে।পোকামাকড়ের কামড়ে এটির রস লাগালে চুলকানি ও প্রদাহ কমে।
স্নায়ুর দুর্বলতা দূর করে ঘাগরা গাছের শিকড়ের রস স্নায়ুর দুর্বলতা ও শারীরিক ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।
হেপাটাইটিস ও লিভারের সমস্যা এটি লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং হেপাটাইটিস ও যকৃতের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
মুখের রোগ ও দাঁতের যত্নে ব্যবহার এর পাতা চিবালে দাঁতের ব্যথা, মাড়ির সংক্রমণ ও মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।ঘাগরা পাতার রস দিয়ে কুলকুচি করলে দাঁত ও মাড়ি সুস্থ থাকে।
কৃমিনাশক হিসেবে কার্যকর এটি শরীর থেকে পরজীবী কৃমি (গ্যাসট্রোইনটেস্টাইনাল প্যারাসাইট) দূর করতে সাহায্য করে।
ব্যবহার পদ্ধতি
- পাতার রস: সরাসরি ক্ষতস্থানে লাগানো যায় বা পান করা যায়।
- পাতা সিদ্ধ করা পানি: জ্বর, পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা ও লিভারের রোগে উপকারী।
- পাতার পেস্ট: ত্বকের সমস্যা ও জয়েন্টের ব্যথায় লাগানো হয়।
- শিকড়ের রস: অভ্যন্তরীণ রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
সতর্কতা
- অতিরিক্ত ব্যবহার করলে বমি, মাথা ঘোরা বা অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে।
- চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘ সময় ব্যবহার না করাই ভালো।
ঘাগরা গাছের ঔষধি গুণ অনেক, যা প্রাচীনকাল থেকে লোকজ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি প্রাকৃতিকভাবে সহজলভ্য এবং বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে কার্যকর, তাই এর গুরুত্ব অপরিসীম।
No comments:
Post a Comment