New
সকালের
শুরু হোক কিংবা বিকেলের
অবসাদ কাটানোর মুহূর্ত—এক কাপ চা
যেন সবার প্রথম পছন্দ।
শুধু
স্বাদ ও সতেজতার জন্য
নয়, চা আমাদের শরীরের
জন্যও দারুণ উপকারী। নানা ধরনের চা
(সবুজ, কালো, হারবাল, উলং) আমাদের স্বাস্থ্যের
বিভিন্ন উপকারে আসে। আসুন জেনে
নিই চা পানের চমৎকার
কিছু স্বাস্থ্যগুণ। নিচে চা পানের
বিভিন্ন উপকারিতা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো—
- অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ
চায়ে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল ও ফ্ল্যাভোনয়েড নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যাল দূর করতে সাহায্য করে। এটি বার্ধক্যজনিত সমস্যা কমাতে সহায়ক।
নিয়মিত চা পান কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে, যা হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পারে।
- মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে
চায়ের মধ্যে ক্যাফেইন ও এল-থিয়ানিন থাকে, যা মনোযোগ, স্মৃতিশক্তি এবং কগনিটিভ ফাংশন বাড়াতে সাহায্য করে। এটি মানসিক চাপ কমিয়ে মস্তিষ্ককে সজাগ রাখতে সাহায্য করে।
সবুজ চা বা কালো চা শরীরের মেটাবলিজম বাড়িয়ে দ্রুত ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করে, যা ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে।
চায়ের মধ্যে থাকা উপাদানসমূহ পরিপাকতন্ত্রকে সক্রিয় রাখে, পেট ফাঁপা ও বদহজম কমাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে, পিপারমিন্ট বা আদা চা হজমে দারুণ কার্যকর।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
চায়ের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
চা, বিশেষ করে সবুজ চা, ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়ক।
- হাড় ও দাঁতের যত্নে সহায়ক
চায়ের মধ্যে থাকা ফ্লুরাইড দাঁতের ক্ষয় প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
- স্ট্রেস ও দুশ্চিন্তা কমায়
চায়ের মধ্যে থাকা এল-থিয়ানিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে এবং মস্তিষ্কে শিথিলভাব আনতে সাহায্য করে।
সবুজ চা এবং অন্যান্য হারবাল চায়ে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের বার্ধক্য রোধ করতে সাহায্য করে এবং ব্রণ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
কিছু সতর্কতা:
- অতিরিক্ত
ক্যাফেইন গ্রহণে ঘুমের সমস্যা, বুক ধড়ফড় ও অ্যাসিডিটি হতে পারে।
- অতিরিক্ত
চিনি মিশিয়ে চা পান করলে
ডায়াবেটিস ও ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়তে পারে।
- চা দুধসহ পান করলে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের কার্যকারিতা কিছুটা কমে যেতে পারে।
চা শুধু একটি পানীয় নয়, এটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের একটি অংশ হতে পারে। তবে পরিমিত পরিমাণে চা পান করাই বুদ্ধিমানের কাজ। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে ২-৩ কাপ চা পান করা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
No comments:
Post a Comment