প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা পদ্ধতিতে এমন অনেক ভেষজ উদ্ভিদের কথা পাওয়া যায়, যেগুলোর ব্যবহার আজও বিজ্ঞানের আলোয় নতুনভাবে মূল্যায়িত হচ্ছে।
তেমনি এক উপকারী গাছ হলো বাসক, যাকে বাংলায় অনেকে “আদুলসা” নামেও চেনেন।হোমিওপ্যাথিতে, বাসক গাছ থেকে তৈরি করা হয় এক বিশেষ ওষুধ, যা শ্বাসকষ্ট, বুকের ব্যথা, কফ জমা, ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস ও হালকা রক্তসহ কাশিতে দারুণ কাজ করে।
এটি ফুসফুসকে পরিষ্কার রাখে, শ্বাসনালির প্রদাহ কমায় এবং ফুসফুসে জমে থাকা কফ দূর করে সহজে শ্বাস নিতে সাহায্য করে।
বাসক (Adhatoda vasica) মূলত দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে জন্মানো একটি চিরসবুজ গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। এর পাতা ঘন সবুজ, স্বাদে তেতো এবং গন্ধে তীব্র।
আয়ুর্বেদ ও ইউনানি চিকিৎসায় এটি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, এই গাছের পাতা ও ফুলে থাকে ভাসিসিন (Vasicine) ও ভাসিসিনোন (Vasicinone) নামক দুটি প্রধান অ্যালকালয়েড যৌগ, যেগুলো ফুসফুসের প্রদাহ কমানো ও শ্বাসনালি পরিষ্কার রাখতে সহায়ক।
হোমিওপ্যাথির মূল ধারণা হলো শরীরের নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সক্রিয় করা, যাতে শরীর নিজেই রোগ প্রতিরোধ করতে পারে।
বাসক থেকে তৈরি ওষুধ সেই নীতিতেই কাজ করে — শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিক্রিয়াকে উৎসাহিত করে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনে।
সূত্র
- 
National Center for Biotechnology Information (NCBI) 
- 
Indian Journal of Homeopathic Medicine 
- 
Journal of Ethnopharmacology 

 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
No comments:
Post a Comment