সমাজের সব মানুষ জন্য সহজ ও সুদ বিহীন বিনিয়োগ পদ্ধতি হচ্ছে প্রাইজ বন্ড। সঞ্চয়প্রবণতা বৃদ্ধির জন্য ১৯৭৪ সালে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর “বাংলাদেশ প্রাইজবন্ড” চালু করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা, বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ডাকঘর থেকে “বাংলাদেশ প্রাইজবন্ড” কিনতে বা ভাঙাতে পারেন।
![]() |
১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড |
প্রাইজবন্ড সম্পর্কে কিছু তথ্যঃ
- আয়ারল্যান্ড ১৯৫৬ সালে প্রথম প্রাইজবন্ড চালু করে।
- ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ প্রাইজবন্ডের মূল্যমান ছিল ১০ ও ৫০ টাকা।
- ১৯৯৫ সালে ১০ ও ৫০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড তুলে নেওয়া হয়।
- ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড চালু করা হয় ১৯৯৫ সালে এবং এই ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড এখনো বিদ্যমান রয়েছে।
প্রাইজবন্ডের “ড্র” সাধারনত ৩ মাস পর পর হয়। সাধারন লটারির ও বাংলাদেশ প্রাইজবন্ডের পার্থক্য হচ্ছে সাধারন লটারির “ড্র” হলে যদি নাম্বার না মিলে তাহলে সেটার আর মূল্য থাকে না কিন্ত প্রাইজবন্ডের নাম্বার না মিললেও মূল্য যা ছিল তাই থাকবে অর্থাৎ প্রাইজবন্ডের মেয়াদ কখনো শেষ হয় না। লটারিতে একবার জিতলে পরর্বতী “ড্র” তে আবারও একই প্রাইজবন্ড অংশগ্রহন করতে পারে না। পুরষ্কার জেতার ২ বছরের মধ্য তা সংগ্রহ করতে হয়। “বাংলাদেশ প্রাইজবন্ড” ড্র রেজাল্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ও সংবাদপত্রে প্রকাশ করা হয়। পুরাতন ড্র রেজাল্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে যে কোন সময় দেখতে পারেন। পুরষ্কার সংগ্রহের জন্য নির্দিষ্ট ফরমের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়। আবেদন ফরম বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা, বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ডাকঘরে পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment