“শোন্ ও-সন্ধ্যা-মালতী, বালিকা তপতী, বেলা শেষের বাঁশি বাজে, বাজে।”
এটি হচ্ছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সন্ধ্যা মালতী ফুল কে নিয়ে লেখা গানের প্রথম দুই লাইন। সবার কাছে পরিচিত রঙের বাহারে পরিপূর্ণ নলাকার একটি ফুল সন্ধ্যা মালতী। সন্ধ্যা মালতী ফুলে চারটি থেকে পাচটি অবিভক্ত পাপড়ি থাকে।
বৈজ্ঞানিক নাম
Mirabilis
বাংলাতে সন্ধ্যামনি, কৃষ্ণকলি,
সন্ধ্যা মালতী
ও ইংরেজিতে marvel
of
ব্যবহার
কাশি দূর করতে ও আগুনে পোড়া পাতার রস ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়।
পেটে ব্যাথা, অর্শ ও শোথ রোগে এই গাছের টাটকা শিকড় খেলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।
কানে শূল হলে ফুলের রস গরম করে কানে দিলে উপকার পাওয়া যায়।
পেট পরিষ্কার করতে সন্ধ্যা মালতী গাছের বীজ গুঁড়া করে রাতে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
ব্যবহার্য অংশ
ফুল, ফল ও পাতা।
প্রাপ্তিস্থান
বাংলাদেশ,ভারত সহ অনেক দেশে সন্ধ্যা মালতী গাছ পাওয়া যায়।
সর্তকতা
গর্ববতী বা স্তন্যদানকারী, দুর্বলদের ও অন্ত্রে প্রদাহ থাকলে সন্ধ্যা মালতী ব্যবহার করা যাবে না। দীর্ঘদিন ব্যবহার করা উচিৎ নয়।
[বি.দ্র. প্রয়োগের পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন]
No comments:
Post a Comment