শেয়ার বাজার সম্পর্কিত সাধারণ তথ্য
শেয়ার কি?
প্রতিটি শেয়ার একটি কোম্পানির মোট পরিশোধিত মূলধনের একটি ক্ষুদ্রাংশের প্রতিনিধিত্ব করে। প্রকৃতপক্ষে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানী বহু সংখ্যক বিনিয়োগকারীর পুঞ্জিভূত মূলধন নিয়ে গঠিত হয়। সেই জন্য এ রকম কো্পানির মূলধনকে সমমূল্যের ছোট ছোট এককে ভাগ করা হয়্। এই এককই শেয়ার/মূলধন। একজন যে পরিমাণ বিনিয়োগের ইচ্ছা করে সে হিসাবে ছোট বা বড় শেয়ার এর লট কিনতে পারে।
কোন কো্পানির কর্মফলের উপর নির্ভর করে অথবা বাজারের অবস্থার উপর নির্ভর করে তার শেয়ারের দাম বাড়তে বা কমতে পারে। একবার যখন শেয়ার ক্রয় করা হয় এবং নতুন বিনিয়োগকারী নাম বদলী হয়ে যায়, সেই নাম তখন কো্পানির নিবন্ধনে উঠে যায়। তখন এই বিনিয়োগকারী মালিক হিসাবে শেয়ারের সবরকম লভ্যাংশ, ভোট দেয়া (বার্ষিক সাধারণ সভায়) ও কোম্পানির প্রতিবেদন পাওয়ার যোগ্য হয়।
কোন কো্পানির কর্মফলের উপর নির্ভর করে অথবা বাজারের অবস্থার উপর নির্ভর করে তার শেয়ারের দাম বাড়তে বা কমতে পারে। একবার যখন শেয়ার ক্রয় করা হয় এবং নতুন বিনিয়োগকারী নাম বদলী হয়ে যায়, সেই নাম তখন কো্পানির নিবন্ধনে উঠে যায়। তখন এই বিনিয়োগকারী মালিক হিসাবে শেয়ারের সবরকম লভ্যাংশ, ভোট দেয়া (বার্ষিক সাধারণ সভায়) ও কোম্পানির প্রতিবেদন পাওয়ার যোগ্য হয়।
বাজার মূলধন কি?
বর্তমান মূল্যে তালিকাভুক্ত কোম্পানীর ইক্যুইটি শেয়ারের সর্বমোট মূল্যই হচ্ছে বাজার মূলধন।
বাজার মূলধন: ∑(ইস্যুকৃত মোট শেয়ারxসমাপনী মূল্য)
বাজার মূলধন: ∑(ইস্যুকৃত মোট শেয়ারxসমাপনী মূল্য)
আইপিও কি?
প্রাথমিক গণ প্রস্তাব। আইপিও অর্থ যখন কোন কোম্পানি সাধারণ জনগণের নিকট থেকে মূলধন সংগ্রহের লক্ষ্যে নিয়ন্ত্রণ সংস্থার অনুমোদন ক্রমে গণ প্রস্তাব পেশ করে।
স্টক এক্সচেঞ্জ কি?
স্টক এক্সচেঞ্জ হল একটি দৃঢ় ও স্থায়ী পুঁজিবাজার যেখানে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করা যায়।
বাংলাদেশে কয়টি স্টক এক্সচেঞ্জ আছে?
বাংলাদেশে দুইটি স্টক এক্সচেঞ্জ আছে।
ক. ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিঃ- ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত।
খ. চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ লিঃ- ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত।
এর মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ দেশের বৃহত্তম স্টক এক্সচেঞ্জ।
বিনিয়োগ করার পূর্বে কিভাবে কোম্পানি নির্বাচন করবেন?
বিনিয়োগ সম্পর্কিত সকল প্রাসংগিক তথ্য পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারা পর্যন্ত অর্থ বিনিয়োগ থেকে বিরত থাকুন। নিজেকে প্রস্তুত করুন, নিষ্ঠার সাথে পর্যালোচনা/বিশ্লেষণ করুন প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক প্রতিবেদন, ইপিএস, একাউন্ট ও অন্যান্য স্টেটমেন্ট, পাশাপাশি দেশ ও বিদেশে অবস্হা পর্যবেক্ষণ করুন যা আপনার বিনিয়োগকে প্রভাবিত করতে পারে। আপনার বিনিয়োগ উপদেষ্টা/ব্রোকারের সাথে আলোচনা করুন আপনি যে শেয়ার ক্রয় বা বিক্রয় করতে চাচ্ছেন তার বাজার হালনাগাদ তথ্যের জন্য। সাবধান থাকুন গুজব থেকে, গুজব নির্ভর কোন লেনদেন থেকে, যতক্ষণ না তাদের পছন্দের জন্য আপনি যুক্তি সংগত ব্যাখ্যা করতে পারছেন।
বুক ক্লোজার/রেকর্ড ডেট কি?
যখন কোন প্রতিষ্ঠান লভ্যাংশ ঘোষনা করে রাইট/বোনাস শেয়ার বা এজিএম/ইজিএম করার সিদ্ধান্ত নেয় তখন বুক ক্লোজার প্রস্তুতকারী বিনিয়োগকারীদের নাম নিবন্ধনের জন্য বুক ক্লোজার/রেকর্ড ডেট ঘোষণা করে।
বুক ক্লোজার/রেকর্ড ডেটের পরে যে সকল বিনিয়োগকারীর নাম তালিকা বইয়ে থাকে শুধু তারাই এজিএম/ইজিএম এ যোগ দিতে পারে এবং তারাই লভ্যাংশ ও বোনাস শেয়ার গ্রহণ এবং রাইট শেয়ার পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে, যদি থাকে।
বুক ক্লোজার/রেকর্ড ডেটের পরে যে সকল বিনিয়োগকারীর নাম তালিকা বইয়ে থাকে শুধু তারাই এজিএম/ইজিএম এ যোগ দিতে পারে এবং তারাই লভ্যাংশ ও বোনাস শেয়ার গ্রহণ এবং রাইট শেয়ার পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে, যদি থাকে।
লেনদেনের সময় কখন?
সাধারণত সকাল ১০:৩০ ঘটিকা থেকে দুপুর ০২:৩০ ঘটিকা পর্যন্ত।
কর্মদিবস: রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার
কর্মদিবস: রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার
No comments:
Post a Comment