বায়োফ্লক পদ্ধতির সহজ হিসাব
চারকোনা ট্যাংকে পানি ধারণ ক্ষমতা নির্ণয়ঃ
মনে করি, চারকোনা ট্যাংকের দৈর্ঘ্য ১০ ফুট, প্রস্থ ৮ ফুট, গভীরতা ৩ ফুট। চারকোনা ট্যাংকের আয়তন = দৈর্ঘ্য X প্রস্থ X গভীরতা
ট্যাংকের আয়তন = ১০ X ৮ X ৩
ট্যাংকের আয়তন |
চারকোনা ট্যাংকে পানি
ধারণ ক্ষমতা
= ট্যাংকের আয়তন X ১ ঘনফুট
চারকোনা ট্যাংকে পানি
ধারণ ক্ষমতা
= ২৪০ X ২৮.৩
চারকোনা ট্যাংকে পানি ধারণ ক্ষমতা = ৬৭৯২ লিটার পানি
পিপিএম(PPM – Parts Per Million) নির্ণয়ঃ
ট্যাংকে পানি প্রস্তুত করণঃ
তৃতীয় দিনঃ অর্ধেক পরিমান পানি দিয়ে ট্যাংক পূর্ণ করতে হবে। তিন স্তরে এয়ারেশন দিতে হবে।
চতুর্থ দিনঃ ট্যাংকের পানির TDS, pH মাপতে হবে। টিডিএস ৯০০ থেকে ১৫০০ এর কম হলে পানিতে প্রয়োজনীয় মাত্রায় লবন দিয়ে বাড়াতে হবে। টিডিএস ৯০০ থেকে ১৫০০ এর বেশি হলে ট্যাংকের পানি প্রয়োজনীয় মাত্রায় কমানোর পর আবার নতুন পানি দিতে হবে।
পানির গুণমান |
মাত্রা |
টিডিএস |
৯০০ - ১৫০০ |
পিএইচ |
৬.৫ – ৮.৫ |
পানির তাপমাত্রা |
২৫ - ৩০ °C |
অ্যামোনিয়া |
০.০১ mg/L |
পানির স্বচ্ছতা |
২৫ – ৩৫ সে. মি. |
পঞ্চম দিনঃ FCO দিতে হবে।
FCO তৈরির প্রথম পদ্ধতিঃ
১০,০০০ লিটার পানির ১ মাসের
এফসিও প্রস্তুত করতে-
.
২০ লিটার পানি
ড্রামে নিতে হবে।
.
৬৫০ গ্রাম
আয়োডিণ ছাড়া লবন (Raw Salt) ড্রামে দিয়ে ভালো করে গুলতে হবে।
.
৫০০ গ্রাম
মোলাসেস দিতে হবে।
.
১০০ গ্রাম পন্ড
কেয়ার ড্রামে দিয়ে ভাল করে মেশাতে হবে।
FCO তৈরির দ্বিতীয় পদ্ধতিঃ
পানিতে ফ্লক তৈরির জন্য পঞ্চম দিন ৫ PPM প্রোবায়োটেক, ৫০ PPM চিটাগুড়, ৫ PPM ইস্ট ১টি ড্রামে নিতে হবে। ট্যাংকের প্রতি ১০০০ লিটার পানির জন্য ড্রামে ১ লিটার পানি নিতে হবে। ড্রামের পানিতে সব কিছু মিশিয়ে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা কালচার প্রয়োগ করতে হবে।তারপর ট্যাংকের সব জায়গাতে তা ছিটিয়ে দিতে হবে। ষষ্ঠ দিন থেকে প্রতিদিন ১ PPM প্রোবায়োটেক, ৫ PPM চিটাগুড়, ১ PPM ইস্ট ড্রামে নিতে হবে। ১ম ডোজ তৈরীর পদ্ধতিতেই অন্যান্য কাজ করতে হবে।
৬৭৯২ লিটার পানিতে পঞ্চম দিন দিতে হবে-
৫ PPM প্রোবায়োটেক = ৫ X ৬.৭৯২
গ্রাম = ৩৩.৯৬ গ্রাম
৫০ PPM চিটাগুড় = ৫০ X ৬.৭৯২ গ্রাম =
৩৩৯.৬ গ্রাম
৫ PPM ইস্ট = ৫ X ৬.৭৯২
গ্রাম = ৩৩.৯৬ গ্রাম
৬৭৯২ লিটার পানিতে ষষ্ঠ দিন থেকে দিতে হবে-
১ PPM প্রোবায়োটেক = ১ X ৬.৭৯২
গ্রাম = ৬.৭৯২ গ্রাম
৫ PPM চিটাগুড় = ৫ X ৬.৭৯২
গ্রাম = ৩৩.৯৬ গ্রাম
১ PPM ইস্ট = ১ X ৬.৭৯২
গ্রাম = ৬.৭৯২ গ্রাম
ষষ্ঠ দিনঃ ষষ্ঠ দিনে ট্যাংকে মাছ দেয়া যাবে।
নিয়মিত পানির টিডিএস, পিএইচ ইত্যাদি পরিক্ষা করতে হবে এবং নির্ধারিত মাত্রায় রাখতে হবে।
No comments:
Post a Comment