র‍্যাম - EDesk Job eTutorials র‍্যাম - EDesk Job eTutorials

সর্বশেষ

2019-07-15

র‍্যাম

কম্পিউটারের র‍্যাম সম্পর্কে কিছু বেসিক ধারণা


কম্পিউটার চালানোর জন্য র‍্যাম অপরিহার্য । কম্পিউটারের কর্মদক্ষতা র‍্যামের উপর নির্ভরশীল। কম্পিউটারে অধিক গতি সম্পন্ন কর্মদক্ষতা পেতে হলে অধিক র‍্যামের প্রয়োজন হবে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ভারি সফটওয়্যার চালানো ও ভালো মানের গ্রাফিক্সের গেমস খেলার জন্যও কম্পিউটারে অধিক র‍্যাম লাগাতে হয়। র‍্যাম যেকোনো জায়গা থেকে সরাসরি তথ্য সংগ্রহ করে বলে একে Random Access Memory(RAM) বলা হয়। আর DDR মানে হচ্ছে Double Data Rate Random Access Memory। বর্তমানে বাজারে DDR2 ও DDR3 র‍্যাম পাওয়া যায় (RAM Model & Price in Bangladesh)। 

DDR2 ও DDR3 র‍্যামের বৈশিষ্ট্য ও পার্থক্য


যদি ১০০ মেগাহার্টজের একটি DDR র‍্যাম প্রতি সাইকেলে ২টি ডাটা ট্রান্সফার করে তাহলে DDR2 র‍্যাম করবে ৪টি ডাটা ও DDR3 করবে ৮টি ডাটা। আবার ১০০ মেগাহার্টজের একটি র‍্যাম DDR হলে তার মেমরি ব্যান্ডউইথ হবে ১৬০০মেগাবাইট/সেকেন্ড DDR2 হলে তার হবে ৩২০০মেগাবাইট/সেকেন্ড আর DDR3 হবে ৬৪,০০০ মেগাবাইট/সেকেন্ড। অর্থাৎ DDR2 র‍্যাম থেকে DDR3 র‍্যামের ডাটা ট্রান্সফার রেট বেশী। ধীরে ধীরে বাজারে DDR2 র‍্যামের জোগান কমে যাচ্ছে। কারন 3rd and 4th generation এর মাদারবোর্ড ও প্রসেসর গুলো DDR3 র‍্যামের সাপোর্ট করে। সাধারন ব্যবহারে র‍্যামের কর্মদক্ষতার পার্থক্য বোঝা যায় না। কারন ৯৯% ভাগ কম্পিউটার প্রোগ্রামেরই বিপুল পরিমান মেমরি ব্যান্ডউইথ দরকারই হয় না। ভারি প্রোগ্রাম ও ভিডিও গেমস চালানোর সময় র‍্যামের কর্মদক্ষতার পার্থক্য বোঝা যায় । র‍্যামের গতি নির্ধারণ হয় এর ক্লক স্পিডের উপর নির্ভর করে। র‍্যামের ক্লক স্পিড যত বেশি হবে তার পারফরমেন্সও তত ভাল হবে। DDR3 র‍্যাম DDR2 র‍্যাম থেকে অনেক বেশি এনার্জি এফিসিয়েন্ট। DDR3 র‍্যাম অনেক কম latency কাজ করে বলে রেসপন্স রেট বেশী এবং কাজও করে তাড়াতাড়ি।
বর্তমানে বাজারে 1333Ghz ও 1600Ghz বাসের ২জিবি, ৪জিবি,৮জিবির র‍্যাম পাওয়া যায়। র‍্যাম কেনার সময় অধিক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ও বেশি বাসের র‍্যাম কিনা ভাল। 

No comments:

Post a Comment